আমাদের সম্পর্কে
নলতা আহছানিয়া দারুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার ইতিহাস নলতা আহছানিয়া দারুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যা সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার নলতা শরীফে অবস্থিত। এই পুণ্যভূমি বিশ্ববরেণ্য শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ও আধ্যাত্মিক সাধক হজরত পীর কেবলা খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র.)-এর রওজা শরীফ সংলগ্ন। তাঁর প্রচারিত মহান আদর্শ— "স্রষ্টার ইবাদত ও সৃষ্টির সেবা"— এই মাদ্রাসার মূল ভিত্তি। সেই আদর্শকে সামনে রেখে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ও ধর্মপ্রাণ মানুষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠানটির আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরু হয়। এর মূল লক্ষ্য ছিল ইসলামী শিক্ষার বিশুদ্ধ জ্ঞান প্রচারের পাশাপাশি আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষার সমন্বয় ঘটিয়ে নৈতিকতাসম্পন্ন, দেশপ্রেমিক ও যোগ্য নাগরিক তৈরি করা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে মাদ্রাসাটি ধারাবাহিকভাবে শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করে যায় এবং বিভিন্ন স্তরে সরকারী স্বীকৃতি লাভ করে। প্রথমে ০১ জানুয়ারি ১৯৮৬ সালে এটি দাখিল (মাধ্যমিক) স্তর পর্যন্ত এমপিওভুক্তির (মাসিক বেতন আদেশ) মর্যাদা লাভ করে। পরবর্তীকালে, শিক্ষার চাহিদা পূরণ এবং প্রতিষ্ঠানের মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ০১ জুলাই ১৯৯৬ সালে আলিম (উচ্চ মাধ্যমিক) স্তরের অধিভুক্তি লাভ করে। ক্রমান্বয়ে, উচ্চশিক্ষার দ্বার উন্মোচনের জন্য এটি ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় (IAU)-এর অধীনে ফাজিল (স্নাতক/ডিগ্রি সমমান) স্তর পর্যন্ত অনুমোদন প্রাপ্ত হয়। বর্তমানে নলতা আহছানিয়া দারুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসা একটি পূর্ণাঙ্গ ফাজিল মাদ্রাসা হিসেবে সুপরিচিত। এখানে ইবতেদায়ী থেকে শুরু করে ফাজিল স্তর পর্যন্ত ছয় শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। মাদ্রাসাটি কেবল ধর্মীয় শিক্ষাতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং দেশের আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সাথে তাল মিলিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষায়ও গুরুত্ব দিচ্ছে। এর লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদেরকে এমনভাবে প্রস্তুত করা যাতে তারা ইলমে দ্বীনের আলোয় আলোকিত হয়ে ইহলৌকিক জীবনেও সফলতার স্বাক্ষর রাখতে পারে। প্রতিষ্ঠানটি খানবাহাদুর আহছানউল্লা (র.)-এর আদর্শকে ধারণ করে শিক্ষা ও সেবার মাধ্যমে জাতি গঠনে তার নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।